এই ব্লগটি সন্ধান করুন


বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

গোলাপ সুন্দরী পড়ে -পূর্ণেন্দু পত্রী

তোমাদের মনে হতে পারে ছেলেখেলা, ইয়ার্কি-ফাজলেমির নশ্বরতাও হয়তো বা,
কিন্তু এই বুদবুদগুলো প্রকৃতপক্ষে আমার নিজস্ব অহঙ্কার।
বাতাস, যে কোন ওড়াউড়িময় সৃষ্টির সম্পর্কে বিরুদ্ধতার জন্যে যে বিখ্যাত,
সরাসরি তার সঙ্গে এক গোপন পাঞ্জার লড়াইও বলতে পারো এটাকে।
সেই কারণেই আমার হাতের এনামেল বাটিতে সাবান জল
আর এখন আমি এই পাহাড়-সদৃশ হাসপাতালের খৃষ্টপূর্ব প্রাচীণতার সামনে
যার খোপে খোপে মৃত্যুর শৈশবের দিকে
শৈশবের মৃত্যুর দিকে যবনিকহীন যাতায়াত।
এই বুদবুদগুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে আমার জানা নেই
কিন্তু এদের উদ্দেশ্য এবং উপকারিতা সম্বন্ধে আমি
শতকরা নিরানব্বই ভাগ সজাগ।
এই রঙীন অহংকারময় খেলাটি আমি আশ্চর্যভাবে শিখে যায় বাল্যকালে
বাল্যকালের পক্ষে যেসব গল্প-প্রবন্ধ-উপন্যাস-ছবি এবং গান অপরাধমূলক
তার প্রত্যেকটির মধ্যেই আমি দেখতে পাই এই সাবান জল
আর সাবান জলের উপরে ঝুঁকে পড়া সেই সব মানুষদের
যাদের ক্ষতবিক্ষত মুখের ভাস্কর্য-রেখার উপরে, সমকালীন নয়,
ভবিষ্যত্ শতাব্দীর সূর্যরশ্মি অভ্যর্থনার আয়োজনে ব্যতিব্যস্ত।
বস্তুত এই সাবানজল আমি পেয়ে গেছি একপ্রকার উত্তরাধিকার সূত্রেই
এখনকার বুদবুদগুলো শুধু আমার।

ভ্রাম্যমান অক্ষর!
যাও, আকাশে একটা নতুন এলাচ-গন্ধের দ্বীপ গড়ে এসো।
ভ্রাম্যমান অক্ষর!
ঐ নিশ্বাসহীন যুবকটিকে বলে এসো আকাঙ্খারই অন্য নাম জীবন।
ভ্রাম্যমান অক্ষর!
অসহ্য রক্তপ্রবাহের পিছনে যে বিশ্বাসঘাতক অস্ত্র
তাকে জানিয়ে দাও একদিন এর প্রতিশোধ নেবে
যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর সব গোলাপ
সারাবেলা এই আমার অস্তিত্বে সবচেয়ে প্রিয় খেলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন